Bangladesh Tigers

Bangladesh Cricket Team ALl the best for second Test

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

Tuesday, December 4, 2018

বিরাট কোহলি ও ভারতীয় ব্যাটিংকে আটকানোর টিপস দিলেন রিকি পন্টিং

বিরাট কোহলিকে আটকাতে অস্ট্রেলিয়া কী ভাবে ফিল্ডিং সাজাবে তারও উপদেশ দিয়েছেন রিকি পন্টিং। 

মাঝে আর মাত্র একটা দিন। তার পরই শুরু হয়ে যাবে অতিপ্রতিক্ষিত ভারত অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ। যা নিয়ে দুই দেশের প্রাক্তন থেকে সাধারণ সমর্থকের মদ্যে জল্পনার কোনও শেষ নেই। প্রাক্তনরা তাঁদের মতো করে যাঁর যাঁর দেশের ক্রিকেটারদের উপদেশ দিয়ে যাচ্ছে তাঁদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী। এ বার বিরাট এবং ভারতকে আটকাতে নতুন টিপস দিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ব্যাটসম্যান রিকি পন্টিং। কিছুদিন আগেই জেসন গিলেসপি তাঁর বক্তব্য জানিয়েছিলেন। পন্টিংয়ের উপদেশ, অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের একমাত্র স্কিলই বিরাট কোহলি ও ভারতীয় ব্যাটিংকে ধাক্কা দিতে পারে। পন্টিং ক্রিকেট.কম.এইউকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারত সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘‘আমি যে অস্ট্রেলিয়া দলে খেলেছি তাদের সব সময়ই কিছু বলার থাকত। তার মধ্যে অবশ্যই কিছু ভাল ছিল। কথা না বলেও সম্ভব ছিল না। যদিও এটা খুব বাজে বিষয়। তোমাকে খেলার অবস্থান বুঝে নিকেজে তার মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলতে হবে না হলে মুখ ব্যবহার করতে হবে। তোমাদের স্কিল আর অ্যাকশন কাজে লাগাতে হবে। যদি সেটা হয় তাহলে ভারতকে ধাক্কা দেওয়া যাবে।''
বিরাট কোহলির জন্য সব দলকেই বাড়তি ভাবনা-চিন্তা করতে হয়। তাঁকে আটকাতে গেলে সাধারণ পদ্ধতিতে হবে না। পন্টিং বলেন, ‘‘যদি ব‌ল না ঘোরে, তাহলে বিরাটকে আউট করা কঠিন। এমন একজন প্লেয়ার যে খুব সহজেই রান করে তার মধ্যে বড় ইগো থাকবে। কিন্তু সেখানে অন্য রাস্তাও রয়েছে যেটা তোমরা করতে পার। তোমরা বেশ কয়েকজন ফিল্ডারকে আগেই বাউন্ডারিতে রেখে দিতে পার। ওকে বাউন্ডারি মারতে দেওয়া যাবে না। তবে শুরু থেকেই ওর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক না হলেও চলবে। টাইট বোলিং করতে হবে। ও থার্ডম্যানে বল পাঠাতে পছন্দ করে। তাই বিভিন্ন জায়গায় ফিল্ডার রাখতে হবে। তাহলে ওর মাথায় ঢুকে যাবে আমরা কী করতে চাইছি।''
সব নজরই এখন বিরাট কোহলিতে আটকে। গোটা দেশ স্বপ্ন দেখছে অস্ট্রেলিয়া থেকে সিরিজ জিতে আসার। বিশেষ করে দূর্বল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। যেখানে নানা সমস্যায় জর্জরিত অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট। তার মধ্যে দলের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দুই সিনিয়র ক্রিকেটার বল-বিকৃতিতে জনিয়ে নির্বাসিত। এই অবস্থায় ভারতের সামনে সব থেকে ভাল সুযোগ সিরিজ জয়ের।
ভারতের জন্য টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে সব থেকে ভাল দিক দলের সব ব্যাটসম্যানরাই রানের মধ্যে রয়েছে। পৃথ্বী শ-র চোট ছাড়া ভারতীয় দলে আর কোনও অস্বস্তির জায়গা নেই।
টি২০ সিরিজ ১-১ ড্র করে টেস্ট সিরিজ খেলতে নামছে ভারত। চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজও খেলবে এই দুই দেশ।



ডোয়েন ব্র্যাভোর চিকেন ডান্সে মেতে সোশ্যাল মিডিয়া, দেখুন ভিডিও

বেঙ্গল টাইগার্সের বিরুদ্ধে মারাঠা অ্যারাবিয়ান্সের সাত উইকেটে জয়ের পিছনে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন ডোয়েন ব্র্যাভো।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই অল-রাউন্ডার কখনও গেয়ে মাঠ মাতান তো কখনও নেচে। এ বার তো তার চিকেন ডান্স ঘিরে মাতল গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গিয়েছে সেই নাচের দৃশ্য। টি১০ লিগে প্রতিদিনই নতুন নতুন কিছু না কিছু ঘটছে। কেউ ব্যাট হাতে মাঠ মাতাচ্ছে তো কেউ বল হাতে। ডোয়েন ব্র্যাভো মাঠ মাতালেন নেচে। শনিবার শারজায় একটি বল উড়ে এসেছিল তাঁর দিকে। ব‌সটি ক্যাচ ধরার আগে থেকে শুরু হয় তাঁর সেই চিকেন ডান্স। আফগান অল-রাউন্ডার মহম্মদ নবির ব্যাট থেকে উড়ে আসা সেই বল ধরার পরও তাঁর চিকেন ডান্স চলতে থাকে। বলটিও ছিল তাঁরই। নিজের বলেই ক্যাচ ধরলেন তিনি। মারাঠা অ্যারাবিয়ান্সের হয়ে ব্র্যাভো চার উইকেট নেন ও ব্যাট হাতে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। বেঙ্গল টাইগার্সকে সাত উইকেটে হারিয়ে দেয় তাঁর দল।

৩৫ বছরের ব্র্যাভো মাত্র দু'ওভারই বল করেছিলেন। আর তাতেই সব আলো ঘুরে গেল তাঁর দিকে। কারণ তাঁর ক্রিকেটের বাইরের নানান কীর্তি কলাপ।
যদিও অ্যারাবিয়ান্সরা দ্বিতীয় এলিমিনেশন ম্যাচে নর্দার্ন ওরিয়র্সের কাছে ১০ উইকেটে হেরে যায়। তার পর তৃতীয় স্থানের প্লে-অফে রবিবার তারা বেঙ্গল টাইগার্সের কাছে ছ'উইকেটে হেরে যায়।
তৃতীয় স্থানের লড়াইয়ে ব্র্যাভোমাদত্র দু'রান করে আউট হয়ে যান এবং একটি উইকেটই নেন। নর্দার্ন ওরিয়র্স  পাখতুন্সকে ২২ রানে হারিয়ে এ বারের টি১০ লিগ জিত নেয়।

Friday, March 16, 2018

সাকিবকে নিয়ে সংশয় দেখছেন না কোচ

সাকিবকে নিয়ে সংশয় দেখছেন না কোচ

কদিন আগেই একবার শ্রীলঙ্কায় ঘুরে গেছেন সাকিব। এসেছিলেন দলকে অনুপ্রাণিত করতে। এক দিন পর কলম্বো থেকেই আঙুলের বিশেষজ্ঞ দেখাতে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। পরে দেশে ফিরেছেন। টুকটাক অনুশীলনও শুরু করেছেন। কিন্তু টুর্নামেন্টের মাঝখানে আচমকা দলে ফেরা অনেকের কাছেই এসেছে বড় বিস্ময় হয়েছে।
তবে বাংলাদেশ দলের কাছে এটি কোনো চমক নয় বলেই দাবি কোচের। বিসিবি সাকিবের ফেরার খবর জানানোর ঘণ্টাখানেক পর সংবাদ সম্মেলনে এসে ওয়ালশ জানালেন, তারা সাকিবকে ফিরে পেতে মানসিকভাবে প্রস্তুতই ছিলেন।
“টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই আমরা আশা করছিলাম যে ওকে পাব। এখানে এসেছিলও, খেলতে পারেনি। তবে দলের অংশই ছিল। আমরা জানতাম যদি চোট কাটিয়ে উঠতে পারে, যদি সুযোগটা আসে, যে কোনো সময়ই সাকিব ফিরবে। ফিট সাকিবকে দলে স্বাগত জানাতে আমরা প্রস্তুতই ছিলাম। সবাই জানত। এটা নিয়ে বেশি ভাবনার কিছু দেখছি না।”
কোচের দিক থেকে হয়তো ভাবনার কিছু নেই, তবে প্রশ্নেরা তাতে থেমে থাকছে না। বিসিবি জানিয়েছে, সাকিব চোট কাটিয়ে উঠেছেন বলেই তাকে ফেরানো হয়েছে। এরপরও থেকে যায় কৌতুহল। আসলেই কতটা ফিট সাকিব। নাকি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে রূপ নেওয়া ম্যাচ জিততে মরিয়া বাংলাদেশ চোট পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠার আগেই উড়িয়ে আনছে সাকিবকে?
দল যে সাকিবের অভাব তীব্রভাবে বোধ করছিল, এটা স্পষ্ট ফুটে উঠেছে প্রতিটি ম্যাচেই। কম্বিনেশন সাজানোই ছিল কঠিন। ৫ জন বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে খেলতে নেমেছে দল, তাতে ব্যাটসম্যান থেকে গেছে একজন কম। ছয় নম্বরে সাব্বির রহমানের পর কার্যকর ব্যাটিং করার মত কাউকে জায়গা দিতে পারছিল না দল। সেই তাড়না থেকে সাকিবের ফেরাটা তাড়াহুড়ো করে হচ্ছে না তো?
ওয়ালশ নিশ্চিত করলেন, কেবল পুরো ফিট দেখতে পেলেই একাদশে বিবেচনা করা হবে সাকিবকে।
“আর যে কোনো ক্রিকেটারের মতোই পর্যালোচনা করতে হবে ওর অবস্থা। দেখতে হবে যে খেলার মত যথেষ্ট ফিট কিনা। যদি ফিট থাকে, তাহলে ওর মত একজন ক্রিকেটারকে বিবেচনা করতেই হবে। ওকে দেখার পরই আমরা বলতে পারব খেলতে পারবে কিনা।”
“এর আগেও ও এসেছিল দলকে অনুপ্রাণিত করতে। আমরা আশা করছিলাম যে সে ফিট হয়ে আবার খেলতে আসতে পারবে। ওর চোট পরীক্ষা করানো হয়েছে, নেট সেশনও করেছে। এখানে আসার পর আবার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেব আমরা।”
যদি সাকিব খেলেন, সেক্ষেত্রেও থাকবে কিছু প্রশ্ন। নিয়মিত অধিনায়ক ফিরলে হয়তো নেতৃত্বও দেবেন তিনি। সেক্ষেত্রে দলের ধারাবাহিকতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা। হুট করে এসে এই টুর্নামেন্টে দলের পরিকল্পনা, ভাষা, এসবের সঙ্গে কতটা মানিয়ে নিতে পারবেন। যদিও সাকিব নতুন কেউ নন, তবু কিছু সংশয় জাগতে পারে। ওয়ালশ যদিও কোনোরকম সংশয়ের কিছুই দেখছেন না।
“সংশয়ের জায়গা নেই। সে যদি খেলার মতো অবস্থায় থাকে, তাহলে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব দলের জন্য কোনটি ভালো হবে। যেটাই করি না কেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভালোর স্বার্থে করা হবে। কেবল ফিট হলেই ওকে বিবেচনা করা হবে। সংশয়ের কিছু নেই।”

‘সেমি-ফাইনাল’ চ্যালেঞ্জ জিততে প্রস্তুত বাংলাদেশ

‘সেমি-ফাইনাল’ চ্যালেঞ্জ জিততে প্রস্তুত বাংলাদেশ

ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচটি কার্যত রূপ নিয়েছে সেমি-ফাইনালে। প্রথম ম্যাচ হেরে শুরু করা ভারত টানা তিন জয়ে ফাইনালে উঠে গেছে সবার আগে। প্রথম ম্যাচে জয়ের পর শ্রীলঙ্কা হেরেছে টানা দুটি। দুটি হারের মাঝে একটি ম্যাচ দারুণভাবে জিতেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার লড়াইয়ে জয়ী দল খেলবে রোববারের ফাইনালে।
দুই দলের আগের লড়াইয়ে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ২১৫ রান তাড়ায় জিতেছে ইতিহাস গড়ে। তবে সেই চূড়া থেকে পতন হয়েছে পরের ম্যাচেই। বুধবার ভারতের বিপক্ষে ১৭৭ রান তাড়ায় বাংলাদেশ হেরেছে ১৭ রানে।
শ্রীলঙ্কা ম্যাচের পর পাওয়া আত্মবিশ্বাসেও চোট লাগার কথা এই হারে। তবে কোচ কোর্টনি ওয়ালশ ওই ম্যাচকে এত গুরুত্ব দিতেই রাজি নন। অন্তবর্তীকালীন কোচ দলকে উজ্জীবিত করছেন ভারতের বিপক্ষে হারকে পেছনে ফেলে।
“গতকাল জিততে পারলে ভালো হতো। কিন্তু সেটাও আমাদেরকে ফাইনালের নিশ্চয়তা দিত না। এই ম্যাচ জিততেই হতো। সেভাবেই তৈরি হচ্ছি আমরা। চ্যালেঞ্জটা নিতে প্রস্তুত। ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই।”
“যদি আমরা নিজেদের পরিকল্পনা মতো ও সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দিতে খেলতে পারি, তাহলে অবশ্যই সুযোগ থাকবে। আজকের দিনটায় ছেলেরা রিল্যাক্সড ছিল। তরতাজা হয়ে সবাই কালকের লড়াইয়ে নামবে।”
টুর্নামেন্টের তিন ম্যাচে বাংলাদেশকে দেখা গেলে তিন রূপে। প্রথম ম্যাচে বিবর্ণ হার, দ্বিতীয় ম্যাচে অসাধারণ জয়। তৃতীয় ম্যাচটি দুটির মিশেল, ফলাফলে প্রাপ্তি যদিও হার। ফাইনালে ওঠার চ্যালেঞ্জে নিজেদের পারফরম্যান্স আরেকটু ধারাল দেখতে চান ওয়ালশ।
“কালকের ম্যাচ কার্যত সেমি-ফাইনাল। দুই দলই জিততে চাইবে এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আমরা খারাপ খেলছি। স্রেফ প্রয়োজন নিজেদের একটু শাণিত করে তোলা। সেটুকু পারলেই ফাইনালে ওঠার সুযোগ থাকবে আমাদের। আমরা সেই চেষ্টাই করছি।”
ম্যাচের গুরুত্ব জানে শ্রীলঙ্কাও। জিততে না পারলে শুধু ফাইনালে ওঠার সুযোগই হাতছাড়া নয়, দেশের স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত টুর্নামেন্টও তাদের কাছে হয়ে পড়বে রঙহীন।
তবে চন্দিকা হাথুরুসিংহে মাঠের বাইরের হিসাব-নিকাশে মন দিতে চান না একটুও। দলকে চাপমুক্ত রাখতেই হয়ত লঙ্কান কোচ চেষ্টা করছেন প্রস্তুতিতে ম্যাচটিকে খুব বড় করে না দেখার।
“অবশ্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তবে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি স্বাভাবিকভাবেই। ওদের বিপক্ষে সম্প্রতি আমরা অনেক খেলেছি, তাই ওদেরকে খুব ভালো করে জানি। ওরাও জানে আমাদের। ব্যাপারটা হলো দিনটায় কে ভালো খেলবে। আমরা আশাবাদী।”
গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচেও শ্রীলঙ্কা পাচ্ছে না দিনেশ চান্দিমালকে। মন্থর ওভাররেটের কারণে নিষিদ্ধ চান্দিমালের জায়গায় যথারীতি নেতৃত্ব দেবেন থিসারা পেরেরা। বাংলাদেশ ফিরে পেতে পারে নিয়মিত অধিনায়ককে। ম্যাচের আগের দিনই চোট কাটিয়ে এই অলরাউন্ডার যোগ দিয়েছেন দলের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত সাকিব খেললে সেটিও গড়ে দিতে পারে বড় পার্থক্য।

Wednesday, March 14, 2018

আশা জাগিয়েও হলো না!


আশা জাগিয়েও হলো না!



মুশফিক পারলেন, পারলেন না মুশফিক। প্রচণ্ড চাপের মুখে আরও একবার দলকে টানার দায়িত্বটা দারুণভাবে সামলেছেন মুশফিক। কিন্তু তাঁর দুর্দান্ত এক ফিফটিও ১৭৭ রান তাড়া করার কাজটা সহজ করতে পারল না। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ১৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। রানের ব্যবধান বাংলাদেশের লড়াইটা বোঝাতে পারছে না। পারছে না মুশফিকের অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংসের বীরত্বও। পরাজিতের জন্য যে কাব্যগাথা তো দূরের কথা, কোনো সান্ত্বনাও বরাদ্দ নেই!

প্রেমাদাসার উইকেটে পেসাররা ভালো করেন। অন্তত এমনটাই শোনা গিয়েছিল সফরের আগে। কিন্তু আজ বাংলাদেশ ডুবল এক স্পিনারের কাছে। ওয়াশিংটন সুন্দরের সামনেই শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের টপ অর্ডার। আগের ম্যাচেই দুর্দান্ত খেলা লিটন, ভয়ংকর হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দেওয়া তামিম কিংবা ছন্দের খোঁজে থাকা সৌম্য—সবাই হার মেনে গেলেন সুন্দরের সুন্দর অফস্পিনের সামনে।

সুন্দরের কারণেই বাংলাদেশের শুরুটা অমন অসুন্দর হয়ে দাঁড়াল। প্রথম স্পেলের প্রত্যেক ওভারেই একটি করে উইকেট নিয়েছেন সুন্দর। ৪০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশও যেন হারিয়ে ফেলছিল জয়ের পথ। তবু আশায় ছিল বাংলাদেশ, মুশফিকুর রহিম যে ছিলেন। মাহমুদউল্লাহও মাত্র উইকেটে এসেছেন। আশা বাঁধতেই পারে দল।

আগের ম্যাচেই যেখানে খুশি বল পাঠিয়েছেন মুশফিক। পাওয়ার প্লের শেষ দুই বলে নেমেই টানা দুই চার মেরে মাহমুদউল্লাহও ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন, তিনিও ভালো কিছু দেখাতে চান। কিন্তু প্রথম দুই বলেই ৮ বলের ইনিংসের বাউন্ডারিগুলো মেরে ফেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। যুজবেন্দ্র চাহালের বাজে একটা বলে এর চেয়েও দৃষ্টিকটুভাবে আউট হয়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ। ৯ম ওভারেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। জয় তখনো ১১৫ রান দূরে।

মুশফিক-সাব্বির তবু পথ হারাতে দেননি দলকে। দুজনের ব্যাটে রানরেটটাও নিয়ন্ত্রণে ছিল বাংলাদেশের। ১৩তম ওভারেই ১০০ ছুঁয়ে ফেলল বাংলাদেশ। ৭ ওভারে ৭৩ রান, বাংলাদেশ কি পারবে?
এমন সময়ই পথ হারাল বাংলাদেশ। ১৪ থেকে ১৬-এই তিন ওভারে এল ১৬ রান। ৪ ওভারে ৫৭ রানের কঠিন সমীকরণে পড়ে ১৭তম ওভার শুরু হলো। দ্বিতীয় বলে চার মেরে চতুর্থ বলেই আউট সাব্বির। বাংলাদেশের হার কি লেখা হয়েই গেল?

মোহাম্মদ সিরাজের ১৮তম ওভারে ১৬ রান এল। সমীকরণটা দাঁড়াল ১২ বলে ৩৩। ১৯তম ওভারে ৫ রান ম্যাচটা সেখানেই শেষ করে দিল। শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে ২ রানে একটি উইকেট মুশফিকের অসম্ভব কিছু করার সম্ভাবনাটাও শেষ করে দিল। মুশফিক তবু দুটি বাউন্ডারি হাঁকালেন। তাতে আফসোসটা কেবল বাড়লই। বাংলাদেশ যদি একটা ওভার মেরে খেলে বেশি রান তুলতে পারত! কিংবা বল হাতে একটা ওভারে রানে যদি আরও একটু বাঁধ দেওয়া যেত। শেষের সমীকরণটা চাপের জগদ্দল পাথর হয়ে বসত না নিশ্চয়ই!

হেরে যাওয়া ম্যাচে প্রাপ্তি খোঁজা বোকামি। তবে শুক্রবারের অলিখিত সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাংলাদেশ নামবে, তা কিন্তু বলাই যায়।

স্কোরকার্ড: 

বাংলাদেশ (লক্ষ্য ১৭৭)
রান
বল
তামিম ব সুন্দর
২৭
১৯
লিটন স্টা কার্তিক ব সুন্দর
সৌম্য ব সুন্দর
মুশফিক অপরাজিত
৭২
৫৫
মাহমুদউল্লাহ ক রাহুল ব চাহাল
১১
সাব্বির ব ঠাকুর
২৭
২৩
মিরাজ ক রায়না ব সিরাজ
আবু হায়দার অপরাজিত
অতিরিক্ত
মোট ( ২০ ওভারে, ৬ উইকেটে)
১৫৯
উইকেট পতন:
১-১২ (লিটন, ১.৫), ২-৩৫ (সৌম্য, ৩.৪), ৩-৪০ (তামিম, ৫.৪), ৪-৬১ (মাহমুদউল্লাহ, ৮.৪), ৫-১২৬ (১৬.৪ ওভার), ৬-১৫০ (মিরাজ, ১৯.২ওভার)।
বোলিং:
সিরাজ ৪-০-৫০-১, সুন্দর ৪-০-২২-৩, ঠাকুর ৪-০-৩৭-১, চাহাল ৪-০-২১-১, শঙ্কর ৪-০-২৮-০।
ফল:
ভারত ১৭ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ:
 রোহিত শর্মা

মাহমুদউল্লাহর আফসোস...


মাহমুদউল্লাহর আফসোস...

  • হারের ব্যাখ্যায় মাহমুদউল্লাহ বললেন, বোলিংয়ে শেষ দিকে একটু বেশি রান দিয়ে ফেলেছেন।
  • অধিনায়কের কাঠগড়ায় টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরাও।
  • মাহমুদউল্লাহর চোখ শুক্রবার ‘সেমিফাইনালে’ রূপ নেওয়া ম্যাচের দিকে।
সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্বের ভারটা মাহমুদউল্লাহ বইছেন জানুয়ারি থেকে। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের কপাল, জয়ের খুশি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসতে পারলেন না কোনো ম্যাচেই। পরশু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জেতার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে এসেছিলেন তামিম ইকবাল। মাহমুদউল্লাহর কাজ যেন শুধু পরাজয়ের ব্যাখ্যা দেওয়া!

জয়ের গল্প বলতে ক্লান্তি নেই। সুখের কথা বলা যায় দিনের পর দিন। কিন্তু বিষণ্ন মুখে হারের ব্যাখ্যা আর কত দেওয়া যায়? ভারতের বিপক্ষে ১৭ রানে হারের অনেক ব্যাখ্যাই দিলেন মাহমুদউল্লাহ। মোটা দাগে যার অর্থ দাঁড়ায়, ‘আফসোস আর আফসোস!’

মাহমুদউল্লাহর প্রথম আফসোসটা বোলিং নিয়ে, ‘বোলিংয়ে শুরুটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু শেষ দিকে কিছুটা বেশি রান দিয়ে ফেলেছি। দশটা রানও যদি কম দিতাম, ভালো হতো।’ পরের আফসোসটা ব্যাটিং নিয়ে, ‘ব্যাটিংয়ে ১৬০ রানের ৭২ মুশফিকই করেছে। টপ অর্ডারের আরও কেউ যদি ৩০ রানের মতো করতে পারত, হয়তো সুযোগ ছিল।’

১৪ ওভার শেষে ভারতের রান ছিল ১ উইকেটে ১০৪, বাংলাদেশের সেটি ৪ উইকেটে ১০৯। রানের হিসাবে সমানে সমান লড়াই। উইকেটে তখন মুশফিক-সাব্বিরের মতো থিতু ব্যাটসম্যান। তবু কেন ম্যাচটা নিজেদের মুঠোয় পুরতে পারল না বাংলাদেশ? এবার নিজেকেই কাঠগড়ায় তুললেন মাহমুদউল্লাহ, ‘মাঝে আমার আর মুশফিকের জুটিটা বড় করা দরকার ছিল। আমি বাজে বলে আউট হয়েছি। ওটাকে ছক্কা মারা উচিত ছিল। তবে এই ম্যাচ নিয়ে আর বেশি না ভেবে পরের ম্যাচটা নিয়ে ভাবা উচিত। যে জায়গাগুলোতে কাজ করা দরকার, সেগুলো নিয়ে কাজ করলে, পরিকল্পনা মেনে খেলতে পারলে ভালো কিছু সম্ভব।’


ভালো কিছু করতে হলে দলের সমন্বয়টা ঠিকঠাক হওয়া জরুরি। ছয় ব্যাটসম্যান আর পাঁচ বোলারের সমন্বয় কতটা কাজে লাগছে, তিন ম্যাচের দুই হারের পর বোঝাই যাচ্ছে। বড় স্কোর তাড়া করতে হলে বা প্রতিপক্ষের সামনে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিতে হলো একাদশে আরেকজন ব্যাটসম্যানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব হচ্ছে ক্রমেই। তবে মাহমুদউল্লাহ পাঁচ বোলার রাখার পক্ষেই বললেন, ‘প্রায় প্রতি ম্যাচেই বড় স্কোর হয়েছে। ১৮০-১৯০ বা ২০০–র মতো রান হচ্ছে। একজন বোলার কম নিয়ে খেললে ঝুঁকিটা আরও বেড়ে যায়। বোলিংয়ে পাঁচটা যথার্থ বিকল্প থাকলে ভরসা করা যায়। আমরা তাই বোলার বেশি নিয়ে খেলছি। বোলিংয়ের ওপর ভরসা ছিল আমাদের। আগের ম্যাচে টপ অর্ডার ভালো করেছে বলেই জিতেছি। আজ হয়নি।’

নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে ভারতের। পেন্ডুলামের মতো ঝুলছে বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার ভাগ্য। শুক্রবারের ম্যাচটা তাই রূপ নিয়েছে সেমিফাইনালে। প্রেমাদাসা সেদিন নিশ্চিত কাঁপবে স্বাগতিক দর্শকদের গর্জনে। সেদিন সিংহের গর্জন ছাপিয়ে বাঘের গর্জন কি শোনা যাবে? মাহমুদউল্লাহ বলছেন, ‘চাপটা বাংলাদেশের নয়, থাকবে শ্রীলঙ্কার ওপরই। ওরা হয়তো কিছুটা চাপ অনুভব করবে। খেলা তাদের মাঠে, তাদের দর্শকের সামনে। আমাদের জন্য এটা নতুন ম্যাচ। শুরু করতে চাইব নতুনভাবে।’

মাহমুদউল্লাহ এও বলতে পারেন, প্রেমাদাসায় কীভাবে নৈঃশব্দ্য নামিয়ে আনতে হয়, সেটি তাঁদের অজানা নয়! কিন্তু সুখস্মৃতির পুনরাবৃত্তি করতে পারবে কি না বাংলাদেশ, সেটিই হচ্ছে কথা।

আমার পারফরম্যান্সই বলবে আমি কে: মালিঙ্গা

আমার পারফরম্যান্সই বলবে আমি কে: মালিঙ্গা

নিদাহাস ট্রফিতে খেলার সুযোগ হলো না, কতটা হতাশার?
লাসিথ মালিঙ্গা: জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার আগে ২০১৭ সালে আমি ছিলাম শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি (৬ টি-টোয়েন্টিতে ১২ উইকেট)। জানি না কেন আমাকে বাদ দেওয়া হলো। এরপর ঘরোয়া টুর্নামেন্ট খেললাম, সেখানেও আমি সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। জানি না, তার পরও কেন দলে নেওয়া হলো না। এবার ওয়ানডে টুর্নামেন্ট খেলছি। প্রথম দুই ম্যাচ ছিল বৃষ্টি বিঘ্নিত। আজ পুরো খেলা হলো, ৪ উইকেট নিলাম।
ওয়ানডের কথা বাদ দিলাম। আমার ভাবনায় ছিল বাংলাদেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও এই নিদাহাস ট্রফি। টি-টোয়েন্টিতে কেন বাইরে আমি? সবচেয়ে হতাশার হলো, আমি কেন বাইরে, সেটির কারণ জানা নেই আমার। গত বছর আমি শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করছি। তার পরও কেন সুযোগ হয় না, জানি না আমি।
দলের বাইরে রাখার সময় শুরুতে বলা হয়েছিল আপনি বিশ্রামে। পরে টানা দুই সিরিজে আর নেওয়াই  হলো না…
মালিঙ্গা: আমি শুনেছি ও পড়েছি, আসাঙ্কা গুরুসিনহা (শ্রীলঙ্কা দলের ম্যানেজার ও অন্যতম নির্বাচক) বলেছেন, সুরাঙ্গা লাকমল ও নুয়ান প্রদিপ আছে দলে। মালিঙ্গার দলে ফেরা খুব কঠিন। জানি না কেন এই ধরনের কথা বলেছেন। আমি আড়াইশর বেশি টি-টোয়েন্টি খেলেছি। প্রায় সাড়ে তিনশ উইকেট। ধরে নিলাম সেসব এখন অতীত। এখনও তো খারাপ করছি না। তবে তারা যদি মনে করে লাকমল ও প্রদিপ শ্রীলঙ্কার সেরা টি-টোয়েন্টি পেসার, আমার তাতে সমস্যা নেই।
ঘরোয়া ক্রিকেটে যেভাবে আগুন ছড়াচ্ছেন, দলে ফেরাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন?
মালিঙ্গা: চ্যালেঞ্জের কিছু নেই। আমি কিছু প্রমাণ করতে চাইনি। কি প্রমাণ করার আছে আমার? আমি শুধু জানি, আমাকে বাদ দেওয়ার কোনো কারণ নেই। কেন আমাকে আবার প্রমাণ করতে হবে? প্রমাণের কিছু নেই। পারফর্ম তো করেই যাচ্ছি।
শ্রীলঙ্কা কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে সম্প্রতি আপনাকে তুলনা করেছেন মাইকেল জর্ডানের সঙ্গে। বলেছেন আপনার সুযোগ এখনও আছে…
মালিঙ্গা: কবে? আমি তো ৪০ বছর পর্যন্ত খেলব না। আমার এখন ৩৪, আর কতদিন খেলব!
শ্রীলঙ্কার পেস আক্রমণে মনে হয় এমন একজনের অভাব আছে যিনি প্রয়োজনের সময় উইকেট এনে দিতে পারেন, সেই ‘এক্স ফ্যাক্টর’ যার আছে…
মালিঙ্গা: তারা (নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্ট) মনে করে, আমার অভাব তারা অনুভব করছে না। তাদের দৃষ্টিতে আমি হয়ত এখন আর যথেষ্ট ভালো নই!
আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে, ওজন একটু কমিয়েছেন। ফিটনেস নিয়ে খাটছেন অনেক?
মালিঙ্গা: খাটতে তো হবেই। আমি একজন ক্রিকেটার। ক্রিকেট খেলাটাই আমার নেশা ও পেশা। সেটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক বা ঘরোয়া, খেলতে ভালো লাগে। এজন্যই ফিটনেস নিয়ে কাজ করছি। জিমে সময় কাটাচ্ছি। ৪ ওভার আর ১০ ওভার বোলিং আমি এখনও করতে পারি এবং উইকেট নিতে পারি।
গত মাসেই বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছেন। কিভাবে দেখছেন সামনের পথচলা?
মালিঙ্গা: আমার মনে হয় না, আরও তিন-চার বছর খেলতে পরব আমি। হয়ত আর দেড় বছর, বড়জোর দুই বছর খেলতে পারব। ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত অবশ্যই খেলতে পারি আমি, হয়ত ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও। যদি তারা চায়, আমি প্রস্তুত। যদি না চায়, আমার সমস্যা নেই। আমি নিজে তো জানি, আমি কে!
টিম ম্যানেজমেন্ট বা নির্বাচকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে ভবিষ্যত নিয়ে?
মালিঙ্গা: তারা কিছু বলেনি। শুধু বলছে আমাকে নেওয়া হয়নি। আমি কারণ জিজ্ঞেস করতে যাইনি। শুধু শুনেছি গুরুসিনহার কথা যেটি বললাম, সেটি শুনেছি। এই তো।
নতুন কোচ হাথুরুসিংহের সঙ্গে কথা হয়নি?
মালিঙ্গা: কথা আগে হতো অনেক। আমাদের ঘরোয়া টুর্নামেন্টের সময় এসেছিল, কথা হয়েছে। কিন্তু জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর কথা হয়নি। কারণ সে এখন শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের কোচ। আমি তার পেছনে ছুটতে চাই না। আমি অমন নই যে যেচে নিজের কথা বলব। নিজের মাঝেই থাকতে চাই। নিজের খেলায় মন দিতে চাই। আমি বল করতে পারি, উইকেট নিতে পারি। আমার পারফরম্যান্সই বলবে, আমি কে।
সামনে তো নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে আপনাকে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বোলিং মেন্টর। কিভাবে দেখছেন এই নতুন চালেঞ্জ?
মালিঙ্গা: ১৪-১৫ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি। অভিজ্ঞতা আছে কোন পরিস্থিতিতে কি করতে হয়। কোন সময় কোন স্কিলটা দরকার। আমি জানি কখন কোন জিনিসটি দরকার। সবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, খুব বেশি বোঝানোর দরকার নাই।
এরপরও কিছু সময় আসে যখন তারা সবকিছু ঠিকঠাক করতে পারে না। চাপ থাকে। আমি তখন তাদেরকো বোঝাতে পারি কিভাবে সেই মুহূর্তগুলো জয় করতে হয়। মু্স্তাফিজও আছে সেখানে। আমি সত্যিই চাই ওকে সাহায্য করতে।
মুস্তাফিজকে কেমন দেখছেন এখন?
মালিঙ্গা: যখন সে এসেছিল, সত্যিই অসাধারণ ছিল। এখনও ভালো করছে। তবে লোকে চায় আরও বেশি। প্রত্যাশার চাপ থেকেই ওর হয়তো নিজের মধ্যে এটা সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। আর আমার মনে হয়, ও খুব বেশি চেষ্টা করছে। আমার মনে হয় না সে সবসময় নিজের ম্যাচ পরিকল্পনায় থাকতে পারছে।
ওর তিন-চার রকমের বৈচিত্র আছে। কিন্তু কখন, কোন পরিস্থিতিকে কিভাবে ব্যবহার করতে হবে, এটা আরও ভালো করে শিখতে হবে ওকে। আমার মনে হয়, ও একটু বেশি আগ্রাসী হচ্ছে এবং একটু বেশি শক্ত ভাবে চেষ্টা করছে। ওকে রিল্যাক্সড হতে হবে।
কি মনে হয়, সমস্যাটুকু শোধরাতে পারবেন?
মালিঙ্গা: অবশ্যই… আমি নিশ্চিত, পারব শতভাগ।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্রধান কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনে। তার সঙ্গে কাজ করাটাও নিশ্চয়ই রোমাঞ্চকর হবে?
মালিঙ্গা: অবশ্যই। ১০-১২ বছর একসঙ্গে খেলেছি আমরা। ওর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো। ধরনটা জানা আছে আমার। কাজ করতে সুবিধে হবে।
সূত্রঃ bdnews24.com

Best Java, Android Games, Apps

 
Best Java, Android Games, Apps Hot Downloads of 2015 !