মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠে ডট বল নিয়ে হাহাকার
প্রসঙ্গটির আগমন ছিল অবধারিতই। তবে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের আগে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ নিজেই বললেন সেটির কথা। এরপর পুরো সংবাদ সম্মেলনে বারবার ঘুরেফিরে এলো সেই প্রসঙ্গ, ‘ডট বল’। বাংলাদেশ অধিনায়কের মতে, ভারতের বিপক্ষে অতিরিক্ত ডট বলই ডুবিয়েছে বাংলাদেশকে।
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ ১৩৯ করার পরই কার্যত ম্যাচ অনেকটা শেষ। ব্যাটিং ব্যর্থতার ময়নাতদন্তে উঠে আসছে পুরোনো এক সমস্যা, ডট বল।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে বরাবরই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর একটি ডট বল। ওয়ানডেতে ৫০ ওভারের বলে অনেক সময়ই সেটা হয়তো পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে সেই সুযোগ থাকে না ততটা। অনেকবারই বাংলাদেশ ভুগেছে ডট বলের কারণে।
ভুগল আরও একবার। ভারতের বিপক্ষে এদিন ৫৫টি ডট বল খেলেছে বাংলাদেশ। হারের কারণ অনুসন্ধানে ম্যাচে শেষে অধিনায়ক বললেন সেই ডট বলের কথা।
“টি-টোয়েন্টিতে মাঝের ওভারগুলোতে আমরা ধুঁকছি। অনেক বেশি ডট বল খেলছি, তার পরও উইকেট বিলিয়ে আসছি। আজকেও আমরা ভালোই শুরু করেছিলাম, কিন্তু পরে নিয়মিত উইকেট হারিয়েছি।”
“টি-টোয়েন্টিতে মাঝের ওভারগুলোতে একটু পিছিয়ে আছি আমরা। বরাবরই এখানে খেই হারিয়ে ফেলি। সিঙ্গেল নিতে পারছি না, ডাবলসও না। পাশাপাশি বাউন্ডারিও হচ্ছিল না আজ। একই সঙ্গে উইকেটও দিয়ে এসেছি।”
টুর্নামেন্টের আগে মন থেকে ভয় আর সংশয় দূর করার কথা বারবার বলেছেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু প্রথম ম্যাচে সেটির বলয় থেকে বের হতে পারেনি বাংলাদেশ।
মাহমুদউল্লাহও স্বীকার করে নিলেন, এদিনও সংশয় ছিল তাদের মনে। ডট বলগুলির জন্ম সেই সংশয় থেকেই।
“আমার মনে হয়, হ্যাঁ (সংশয় ছিল)। ডট বলগুলোতে সেটিরই প্রমাণ মিলেছে। আমি নিজেই যেমন মনে হয় ৭টি ডট বল খেলেছি। তার পর আউট হয়ে গেছি। ডট বলস…উই নিড টু টেক কেয়ার অফ ইট। এই জায়গাটায় আমাদের কাজ করতেই হবে। এত ডট বল খেলে এগিয়ে যাওয়া কঠিন। শুধু বাউন্ডারির ওপর নির্ভর করে চলবে না। সিঙ্গেলের পাশাপাশি বাউন্ডারি হলে ব্যাটসম্যানরা চাপে থাকে না।”
বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের মতে, স্কিলের চেয়ে মানসিকতার সমস্যাই বেশি বেশি ডট বল খেলার মূল কারণ। প্রয়োজন দেখছেন তাই আত্মজিজ্ঞাসার।
“মানসিকভবে প্রস্তুত হতে হবে। সবাইকে ভাবতে হবে কোথায় ভুল করেছি। আমি যেমন আজকে অনেক ডট বল খেলেছি। এই ছোট জিনিসগুলো নিয়ে যদি আমরা একটু সেন্সিবল হই, তাহলেই হবে। সবাই বসে যদি ঠিক করতে পারি, তাহলে ভালো কিছু হবে।”
সূত্র-bdnews24.com
0 comments:
Post a Comment