‘যতটা সমালোচনা হয়েছিল, ততটাই প্রশংসা প্রাপ্য মুশফিকের’
জয়ের আগেই উদযাপন এবং শেষ পর্যন্ত জিততে না পারা। বেঙ্গালুরর ম্যাচ নিয়ে সমালোচনা কম শুনতে হয়নি মুশফিকুর রহিমকে। আত্মগ্লানির আগুনেও পুড়েছেন। কলম্বোতে কি মাটিচাপা দিতে পারলে বেঙ্গালুরুর যন্ত্রণা? প্রেক্ষাপট, প্রতিপক্ষ যদিও আলাদা, এরপরও তামিম ইকবাল মনে করেন, অবশেষে প্রায়শ্চিত্ত করতে পেরেছেন মুশফিক।
২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে নায়ক হতে হতেও মুশফিক এক রকম হয়ে গিয়েছিলেন খলনায়ক। শেষ ওভারে দারুণ দুটি বাউন্ডারিতে দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন জয়ের কাছে। দল জিতবে নিশ্চিত ধরে নিয়েই উদযাপন করে ফেলেছিলেন আগেই। কিন্তু অভাবনীয়ভাবে দলকে হারের পথে নিয়ে যান মুশফিকই। তিন বলে যখন দরকার দুই রান, ছক্কা মারতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে আসেন। পরের দুই বলে আরও দুটি উইকেট হারিয়ে ১ রানে হেরে বসে বাংলাদেশ।
ম্যাচের পর মুশফিকের শট নিয়ে যেমন সমালোচনা হয়েছিল, তার বেশি বেশি সমালোচনা হয়েছিল জয়ের আগেই উদযাপনের ‘ছেলেমানুষি’ নিয়ে। গত ২ বছর ধরেই সেই প্রসঙ্গ ঘুরে ফিরে উঠ এসেছে বারবার।
সেটিকে পেছনে ফেলার একমাত্র উপায় ছিল ২২ গজেই দারুণ কিছু করা। মঞ্চ প্রস্তুত ছিল শনিবার। মুশফিক এবার কাজে লাগিয়েছেন সেই সুযোগ। বীরোচিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন। এবার উদযাপন করেছেন লক্ষ্য ছোঁয়ার পরই।
বেঙ্গালুরুর ভূত তাড়ানো গেল কিনা, তা নিয়ে মুশফিকের ভাবনা জানা যায়নি। তবে তামিম বলছেন, সেদিনের আক্ষেপ এদিন পুষিয়ে দিয়েছেন মুশফিক।
“বেঙ্গালুরুতে যে মানুষটি ভুল করেছিল, আজকে সে দলকে জিতিয়েছে। আমি সব সময়ই বিশ্বাস করি যে ভালো-খারাপ সব খেলা থেকেই শেখার আছে। একটা খারাপ ম্যাচ থেকে শিখেই কিন্তু আজকে আমরা কাজে লাগাতে পেরেছি। যেভাবে ওই সময় মুশফিকের সমালোচনা হয়েছিল, আজকে সেভাবেই প্রশংসা করা উচিত যেভাবে সবকিছু সে সামলেছে।”
সূত্র ঃ bdnews24.com
0 comments:
Post a Comment